Tuesday, December 31, 2013

হাস্যরস

পাড়ার চা দোকানে বসে চা আর গুলতানি আড্ডা চলছে।
একটু দেরিতে সেখানে যোগ দিলাম, গিয়ে দেখি আলোচনা গরম।
কি হইছে?! সুপ্রিম কোর্ট এলাকার ভেতরে ঢুকে মহিলা আইনজীবীকে মাটিতে ফেলে পেটায় কিভাবে!? এই প্রসঙ্গে এক বড়ভাই উত্তেজিত!

গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছি আর মাথা দুলিয়ে সবাই সায় দিচ্ছি!
তখন প্রশ্ন আসলো যে, "পুলিশ তখন কি করছিল?!
যদি সুপ্রিম কোর্টে নিরাপত্তাই না দিতে পারে তাহলে তারা আছে কি করতে?"

আচমকা উত্তর আসলো পেছন থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে,
"হুলিশ তহন নাহে তইল দি কান খুচাইতেছেলো..."

তাকিয়ে দেখি এক মধ্যবয়সী ভ্যানচালক, হাতে ধরা একটা পাখির পালক।
"এই এমনে..." বলে কানে সেই পালকটি দিয়ে আমাদের একটা ডেমো দেখালেন..

মুহুর্তে গরম পরিবেশ, হাসির তোড়ে বেশ সহজ হয়ে এলো..
চা শেষে হেসে কেশে, ধীরে ধীরে সবাই খানিকপর বিদায় নিলো...

Wednesday, December 25, 2013

জিঙ্গেল বেলস

পাশের বাসায় গত দুই ঘণ্টা ধরে "জিঙ্গেল বেলস জিঙ্গেল বেলস.." বেজে যাচ্ছে...
একটু অবাক হলাম, পাশেই কেউ বড়দিন পালন করছে। যথারীতি আমি তাদের চিনিও না জানিও না। ঢাকায় সচরাচর যা হয়!

সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে ঘণ্টাখানেক আগে নিচে নামলাম,
পাড়ার দোকানে এসে জানলাম এইটা পাশের বাসার বন্ধুর কাজ!
তার কথা হইলো উৎসব সবার!!

দোকানি পরিচিত! সে হেসে বলে,
"মামা! উৎসব তো আসলে সবার না,
ওইটা আপনেরা ওইতো সবার বানায় নেন।
যাতে হেতিদের নিয়া বাইরে ঘুরার একটা সুযোগ হয়!
প্রতিটা দিবসই তো এমনে যায়! দেখসি.."

বন্ধু চুপ, আমি মুচকি মুচকি হাসি আর সবাই চা খায়!

দোকানি খুব ভুল কিছু বলে নি!
"উৎসব সবার" যে বলা হয়, আসলেই কি সবাই সেভাবে দেখে?!
প্রতিটা উপলক্ষ্যকেই কি অনেকে ভালবাসা দিবস টাইপের
জাস্ট ডেটিং ডে বানিয়ে ফেলছে না?

তা যাই হউক!
শুনতে কিন্তু ভালোই লাগছিল,
"জিঙ্গেল বেলস, জিঙ্গেল বেলস.. জিঙ্গেল অল দা অয়ে.."

বড়দিন ছোটদিন সমস্তদিন ভালো কাটুক!

Monday, October 28, 2013

অনন্ত জলিল - মানবিক উৎকর্ষ এবং কিছু কথা

অনন্ত জলিল আহনাফ এর চিকিৎসা খরচের জন্য
২ লক্ষ টাকা দিয়ে আহনাফ এর সুস্থতা কামনা করেছেন।
এইটা অবশ্যই উনার একটা অতি ভালো কাজ।
আল্লাহ ওনাকে এই রকম ভালো কাজের আরও তৌফিক দান করুন।
আমিন।

তবে এই মানবিক উৎকর্ষের কারণে
উনার বিগত সময়ের অখাদ্য কুখাদ্যকে উত্তম বলার পক্ষপাতী নই।
ভালো কাজে উৎসাহ দান - সাধ্যমত অংশগ্রহণের পাশাপাশি
মানহীন কাজে নিরুৎসাহিত করাও একটি দায়িত্ব।

"আপনি মহৎ কাজ কিছু করিয়াছেন ভাই,
তাই আপনার মানহীন কর্মগুলিরও গুণ গাই!"
আসুন এমন দুমুখো নীতির বিরুদ্ধে যাই!!
কারণ, মানহীন কাজের গুণ বলে কিছু নাই।।

দুধ দেয়া গরুর নাকি লাথিও খাওয়া যায়,
লাথি খেয়ে দেখো তব দাঁত হারিয়েছো হায়!

অনন্ত জলিল - এরকম ভালো ভালো কাজ করে সবার হৃদয়ে স্থান করে নেবেন;
এই শুভ কামনাই থাকলো।।

Tuesday, October 22, 2013

কবির ভাই সমাচারঃ শুভ জন্মদিন পর্ব

অনেক সাধনার পর অসাধ্য সাধন হইলো।
প্রিয় কবির ভাই উনার জন্মদিনে পার্টি দিতে নিমরাজি হইলেন।

নিমরাজি হইবার কারণ অলক ভায়ের হুমকি!
অলক ভাইয়ের পরিচিত দুজন কিঞ্চিত ইয়ে(!)যুক্ত ছেলে আছে।
যারা কবির ভায়ের উপর একটু ইয়ে মানে ইয়ে(!)ভাবে আকৃষ্ট!!
পার্টি না দিলে তাদেরকে কবির ভায়ের বাসা চিনিয়ে দেয়া হবে
- এই হুমকিতে কাজ হলো।

যাইহোক, কবির ভায়ের বার্থডে গিফট হিসেবে দেয়া হলো
একটি "ডোরেমন" পুতুল (উনার ফেবারিট)
আর বহু আকাঙ্ক্ষিত একটি ফোন নাম্বার!

তো উনি বাসায় গিয়ে সেই নাম্বারে ফোন দিলেন।
বহু কাঙ্খিত সেই কল।
ওই প্রান্তে ফোন ধরলো। কথা শুরু হলো।

পরিচয় পর্ব শেষ হতে না হতেই শুরু হলো
এয়ারে পেয়ারতেলের বিখ্যাত নেটওয়ার্ক সমস্যা!
কথা কেটে কেটে আসছে - কেউ কারো কথা বুঝছে না।

কবির ভাই বলেন, "হ্যালো হ্যালো"
ওপ্রান্ত থেকেও বলে, "হ্যালো হ্যালো"
এক পর্যায়ে কবির ভাই বলা শুরু করলেন,
"হ্যালো 143, 143"
নেটওয়ার্ক সমস্যা কমে এলো, সূচনা হলো অন্য সমস্যার!

ওপাশ থেকে শুধায়,
"হ্যালো 143" মানে কি?!
উনি ব্যাখ্যা দেন,
"ওই যে মাইক্রোফোন টেস্ট করে না, ওমনি করলাম আর কি?"
বলেই সেই বিগলিত হাসি!

ওপ্রান্ত থেকে অবজেকশন আসলো, "ওটা তো 123 বলে, 143 না!"
আবার একখানা বিগলিত হাসি হেসে কবির ভাই বললেন,
"ওই একটু বদলে বললাম - বুঝেছেন তো!"

ওপ্রান্ত থেকে জানালো যে, বুঝে নি, তবে এই বদল ভালো লেগেছে!
কবির ভাই তো এবারে বিগলিত হতে হতে গলন্ত মোম!
তিনি ফোনে একটা পাখি, তিনটা পাখি আর চারটা পাখির
বিশ্লেষণ শুরু করতে গিয়ে ইতিহাস - পাতিহাস - দুর্বা ঘাস
সব কিছু নিয়ে লেকচার দেয়া শুরু করলেন!

কিন্তু বিপত্তি দেখা গেলো অন্য খানে।
এতো ব্যাখ্যার ভিড়ে আসল টপিকটাই হারিয়ে গেলো!
এক পর্যায়ে খুব সম্ভবত ওই প্রান্ত ঘুমিয়ে গেলো!
(এইটা কবির ভাই অবশ্য স্বীকার করেন নি)

এভাবেই শেষ হলো বুঝি একটি সম্ভাবনার! ;)

পরদিন কবির ভাই এসে ঘটনা বলে মন্তব্য করলেন,
"তেমন লাভ হলো না! গবেট গবেট! কিছুই জানে না - বোঝে না।"

আকাশ ভাই বলে,
"আপনেরে পরিচয় করায়া নাম্বার দিসি কথা বলতে আর আপনে দিসেন লেকচার!
ওই মিয়া আপনেরে কি ক্লাশ নিতে কইছি হের?! আপনে বলবেন কথা,
সেইটা না বইলা হুদাই প্যাচাইছেন আর আইয়্যা কইতেছেন গবেট গবেট!"

শুনে কবির ভাই মিটিমিটি হাসেন আর খুকুর খুকুর করে কাশেন।

আন্নু ভাই বললেন,
"আরে ভাই! আপনে হাসেন নাকি কাশেন?!
সিধা বইলা দেন তারে যে আপনি ভালবাসেন।
প্যাচপুচ বাদ দিয়া একটা পরিস্কার সিদ্ধান্তে আসেন,
এইটা তো আলাদিনের চেরাগ না যে ঘসেন শুধু ঘসেন!!" ;)

তাও কবির ভাই কাশেন, বলেন
"143 তো বলছি, এইটা সে না বুঝলে তো আমাকে ক্যামনে বুঝবে?!"
সুমিত ভাই বলে উঠলেন, "আপনি কি তারে এই টপিকে বুঝাইছেন?!"
উত্তর আসে, "এর আশেপাশেই তো বুঝাইছি!"

চিশ্চতি ভাই কনক্লুশন টানেন,
"বাদ দে! কবির ভয় পাইছে তাই প্যাচানি শুরু করছে।
এই লোক শুধরাবে না খালি প্যাচাবে। আর হুদাই আমাদের মুখ খরচ হবে।"

সবাই হতাশ। কবির ভাই তখনো জপে যাচ্ছেন,
"143 বোঝো না - আমাকে কি বুঝবে?!"

Friday, October 18, 2013

কবির ভাই সমাচারঃ হন্টন টনটন পর্ব

হাঁটতে হাঁটতে ঠাস করে কবির ভাই বলে বসলেন, "এবছরই বিয়ে করবো..."

পুরো কাফেলা এক পলকের জন্যে থমকে হাসির দমকে ফেটে পড়লো।

আকাশ ভাই বললেন, "বছরের তো মাত্র দুমাস বাকি! ক্যামনে কি?!"

"এই মানে আগামী বছরের মধ্যেই আর কি!" খানিক বিব্রত কবির ভাই। পল্টি মাত্র শুরু।।

ওপাশ থেকে চিশতী ভাই বাজী ধরলেন, "কবির যদি আগামী চউদ্দ মাসের মধ্যেও বিয়ে করে তবে পার্টি দিবো, আর না করলে কবির পার্টি দেবে। - বুফে হবে, বুফে।।"

শুনেই কবির ভাই আঁতকে উঠলেন, "কিসের পার্টি?! আজব তো! বিয়া করলেও ছিলবি, আবার না করলেও ছিলবি! এসব কি?! কোনো পার্টি ফার্টি হবে না।" এই গেলো পল্টির অর্ধেক খানা।

সাথে সাথে চিশতী ভাই বলে, "দেখো দেখো, গণেশ উলটানো শুরু হয়ে গেছে। এরপর বলবে বিয়েই করবো না আর দোষ দেবে আমাদের..."

তৎক্ষণাৎ শুরু হলো পল্টির বাকি টুকু। কবির ভাই বললেন, "ঠিক বলেছিস!! বিয়ের মতো বিরাট শুভ একটা কাজের জন্য আজে বাজে বাজী লাগা ঠিক হবে না। বিয়ে পোস্টপোন্‌ড করা হউক।"  কি সে যুক্তি!!!

আকাশ ভাই তো ক্ষেইপা ফায়ার! কয়, "বুইড়া খাটাশ! দাঁড়ি পাকা ধরছে তবু বিয়ার নাম হুনলে পিছায় - দাওয়াত দিতে হইবো বইলা! চিন্তা করছেন?!"

কবির ভাই আবার সেই বিগলিত হাসি দিয়ে বললেন, "ঠিক বলেছিস! আর জানিসই তো বউ হইতে বই উত্তম!"

বইয়ের পোকা কবির ভায়ের এহেন পল্টি দেখে সবাই হতবাক!

পিছন থেকে রিফাত বলে উঠলো, "আপনেরা খামোখাই এতো মুখ খরচ করলেন। আমি দেখেন শুরু থেইকাই চুপ আছিলাম! আহ্‌ কি ডায়লগ! বউ হইতে বই উত্তম - কি বলেন ভাইলোগ?!"

"হ, তুই ওরে আরও তাল দেস..." বইলাই আকাশ ভাই ঝাঁপায় পড়লো কিলের বস্তা নিয়া - এরপরের সম্মিলিত কিলাকিলি গুলি রিফাতের ওপর দিয়া গেলো। আর সিনিয়ার হওয়ায় কবির ভাইকে দিতে না পারা কিলগুলিও রিফাত কাউ মাউ করতে করতে খাইলো... ;)

#গল্প - বাস্তবের ফ্রেমে কল্পচিত্র আঁকার স্বল্প প্রয়াস!

Monday, October 14, 2013

হাঁটুরে গপ্প

দুই বড়ভাই গরু কিনতে হাটে গেছেন।
প্রাথমিকভাবে উনারা ষাঁড় কিনবেন বলে ঠিক করেন।
দরদাম করে বেশ কমের মধ্যে একটা লাল গরু উনাদের পছন্দ হলো।
তো কিনে ফেললেন। বড়ো ঠাণ্ডা মেজাজের সে গরু।
দুইজনে তো বেজায় খুশি, এতো লক্ষ্মী গরু!

বাসার দিকে আসছেন।
পথে মানুষজন গরুর দাম জিজ্ঞেস করে আর অবাক হয়।
"মাশাল্লাহ্‌, ভালো হয়েছে।" বলে প্রশংসাও করেন অনেকে।

কিন্তু মাঝপথে একজন গরুর দাম শুনে চট করে গরুর নিচের দিকে উঁকি দেন।
ঠাস করে দাঁড়িয়ে আঙ্গুল তুলে বললেন, "আরে ভাই! এইটা তো গাই, গাই!!"

"গাই!" ও মোর খোদা!
কিনতে গেলাম ষাঁড় - লইলাম গাই!!
কেনার সময় তো আর নিচে তাকাই নাই!!!

দুইজনের তো আক্কেলগুড়ুম অবস্থা!

এখন বাসায় গিয়ে কি বলবেন?
"ষাঁড়ের জায়গায় গাই! কি করলাম ভাই" টাইপ অবস্থা।

শেষে বুদ্ধি করা হলো বলা হবে যে,
"গাভীর চেহারা মায়াময়, চোখে মায়া - মুখে মায়া,
এমন কি ডাকেও কি সে সুগভীর মায়া!"
মায়ার টানেই এই গাই কিনলাম ভায়া!!

ঘটনা জানার পর মায়াই লাগছে!
না, ভাইয়েদের ষাঁড় ভেবে গাভী কেনার জন্য না।
গাইটার জন্য...

 গরু কিনতে গেলে সাবধান,
এই জিনিসটা মনে রেখে যান।
একবার হলেও নিচে তাকানো চাই,
নাইলে ষাঁড় ভেবে নিয়ে আসবেন গাই!!

Saturday, October 5, 2013

যত দোষ - সব নন্দ ঘোষ!!

এক বড়ভায়ে কইলো,
"সরকার রামপাল ইস্যুরে ধামাচাপা দিতেই এই সাকারে ফাঁসি দিছে!
সাকা ইস্যু তুইলা সরকার মানুষরে রামপাল ইস্যু থেকে সরায়া দিছে!"

কইলাম, "আপনের কথা সত্য ধরলে তো দুষ বেশী আপনের!"
জিগাইল, "ক্যামনে?"

বুঝাইলাম,
"আপনে নতুন ইস্যু পাইলেই যদি আগের সব ভুইলা যান, তাইলে দোষ কার?!"
এবারও কয়, "দোষ সরকারের"

কইলাম, "জী ভাই! যত দোষ - সব নন্দ ঘোষ!!"

তখন পাশ থেকে আরেক বড়ভাই কইলো, "একটা কথার কথা বলি! আপনে বউ পায়া যদি মায়েরে ভুইলা যান, তয় সেই দোষটাও সরকারের কান্ধে দিয়া দিয়েন!"



  ধামাচাপা - কেউ দিতে চাইলেই আপনে মাইনা লইবেন ক্যান?!

Thursday, October 3, 2013

কমনসেন্স - এতো আনকমন ক্যান?!

রেজাল্ট দেবার অল্পসময় আগেই তা কেউ ফাঁস করে দেবার মানে হচ্ছে সে চোর! 
এতে এর থেকে বেশী কিছু প্রমাণ হয় না। 

যে ফার্স্ট হবার সে হবেই যে ফেল করার সে ফেইল করবেই। 
রেজাল্ট আসমান থেকে আসে না,
পরীক্ষায় কি করছেন সেইটা সহ এবং সেইটা থেকেই আসে। 


তাই রিপোর্ট কার্ড হাতে নেন। 
মিলায় দেখেন - দরকার মনে হইলে পুনঃনিরীক্ষণ করতে দেন। 

কিন্তু আপনি একটু আগেই রেজাল্ট জানছেন বইলা সেইটা বাতিল হয়ে যায় না। 
বরং যার থেকে জানছেন সে চোর - কেবলমাত্র এইটাই প্রমাণ হয়।

চাইলে শব্দগুলো এভাবেও পড়তে পারেন।
রেজাল্ট = রায়
রিপোর্ট কার্ড = রায়ের কপি
পুনঃনিরীক্ষণ = আপিল
  

কমনসেন্স - মাঝে মাঝে ভেরি আনকমন থিং মনে হয়!

Monday, September 2, 2013

আধা মাধা গাধা রে গাধা

কয়েকদিনের আলস্যে গালভর্তি কুটকুটে দাড়ি নিয়ে ঘুরছি।
এমন অবস্থায় আজ হঠাৎ স্কুলজীবনের এক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা।
আমাকে দেখেই বন্ধুর ভ্রু কুঁচকে গেল।
না, চিনতে পারে নি বা চিনতে কষ্ট হচ্ছে এমন কোন কারণে নয়।
ফেবুর কল্যাণে, দেখা সাক্ষাৎ বিনেও যোগাযোগ আজকাল দুস্কর কিছু না।
তার ভ্রু কুঞ্চনের কারণ হলো আমার দাড়ি!

জিজ্ঞাসিলাম, দাড়িতে কি সমস্যা হে বন্ধুবর?!
বন্ধুবর কহিলেন, কি রকম অপরিচ্ছন্ন লাগতেছে তোরে?
সেভ করোস না ক্যান? জানোস না পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ??

সাতসকালে গোসল করে বের হলেও শুধু মাত্র দাড়ি থাকার কারণে বন্ধুবর এহেন অপরিচ্ছন্নতার অপবাদ দিলো। তবে তার ঈমানী জোশ দেখিয়া সেই যে মুচকি মুচকি হাসি আমার শুরু হইলো, সেইটা এখনও থামে নাই! কোন বিষয়ের কি কোথায় নিয়া জোড়া দিসে, এইটা ভাবতেই হাসি আসতেছে...

বাঙালী আধা-মাধা জানিয়াই গাধার মতো চেঁচায় বলে বিরক্ত লাগে।
অর্ধেক জ্ঞান - নিপাট মূর্খতা থেকেও বেশী খারাপ!! এইটাই আজকের উপলব্ধি।

Saturday, August 24, 2013

ত্যাঁদড় ছোট ভাই [কিঞ্চিত ত্যাঁদড়ামি+ পোস্ট]

এক ছোটভাই কাল বলল, "আপনেরে তিনটা প্রশ্ন করবো আর সাথে একটা বোনাস!"

সম্মতি পেয়ে সে প্রথম প্রশ্ন করলো, "চাঁদে প্রথম পা কে রাখছে?"
উত্তর দিলাম, "বাহুবল সাব।" [আর্মস্ট্রং]
এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন, "দ্বিতীয় পা কে রাখছে?"
পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম, 'ব্যক্তি হিসেবে নাকি পা হিসেবে দ্বিতীয়?"
কয়, "না ভাই! পাল্টা প্রশ্ন করা যাবে না, আপনে উত্তর দেন।"
তো কইলাম, "ব্যক্তি হিসেবে অলড্রিন সাব আর পা হিসেবে বাহুবল সাব' [আর্মস্ট্রং সাব তো আর ল্যাংড়া আম আছিলো না!]
ত্যাঁদড় টা কয়, "না ভাই, খেলুম না - আপনে ডিসকোয়ালিফাইড!" বইলা হল্লা শুরু করলো!
ধমক দিয়া থামায়া তৃতীয় প্রশ্ন করতে বললাম। তখন সে ইতস্তত করতে লাগলো।
এরপর আবার ধমক খায়া আর আমারে ডিসকোয়ালিফাইড ঘোষণা দিয়ে জিগায়, "তৃতীয় পা কে দিছিল?" ;)
ত্যাঁদড়টার ত্যাঁদড়ামি তো ততক্ষণে ধরা!
তাও উত্তর দিলাম, "বাহুবল সাবের দুইপা হিসাবে নিলে, ব্যক্তি হিসেবে তাইলে তৃতীয় পা দিছিলো অলড্রিন সাব।"
কয়, "ভাই! প্রশ্ন ঠিকমতো বুঝেন নাই!! এইটা ট্রিক কোশ্চেন ছিল।"
এরপর বান্দরটারে দউরানি দিয়া খেদাইছি! পুলাপান বেদ্দপ!!

চতুর্থ প্রশ্ন আর করতে পারে নাই। তারে @খেদানি অলটাইম দৌড়ের উপর রাখছি... ;)

[ঈষৎ পরিমার্জিত! নিজের বকাবাদ্দি সহ আরও কিছু স্কিপ কইরে গেলাম!!] ;)

Monday, August 19, 2013

বিটলামী

বন্ধুর মন খারাপ! বেশী খারাপ!! মেয়েজনিত সমস্যা!!!
বন্ধু ডায়লগ দিলো, "বুঝলি রে, পর কখনো আপন হয় না।"

ডায়লগ শুইনা ঠুস কইরা মাথায় ক্যারা উঠলো।
 বিটলামীর তো সীমা নাই! ভাবলাম একটু বিটলামীই করি।
বন্ধুমানু - তার সাথে এগুলি করাই যায়!
বলা তো যায় না, এতে মন ভালো হইলে হইতেও পারে! ;)

শুধাইলাম,
"তোর আব্বা আম্মার তো অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হইছে, তাই না?!"
উত্তর দিলো, "হ, ক্যান?"
কইলাম, "না! দ্যাখ, অজানা অচেনা একমহিলা তোর আপন মা!!
এইটা একটু কেমন কেমন জানি হইয়া গেলো না?"
এবার দাতমুখ খিচায়া বন্ধুর পাল্টা প্রশ্ন, "মজা লস?"
নির্বিকার ভাবে রেসপন্স দিলাম, "দিলে - লমু না কস?!"

এরপর পাল্টা বয়ান দিলাম,
"মানুষ পর থেকেই আপন হয়।
দুইন্নায় তো আর সবাই সবার আপন নয়!
তবে পরকে আপন করতে জানতে হয়।
লাইগা থাক - একদিন সফল হবি নিশ্চয়।।"

আশেপাশে পুলাপাইন মারহাবা মারহাবা করতে লাগলো।
কে জানি অবশ্য "মর হাবা"ও বলছিল - বন্ধুদের এতো কিছু শুনতে হয় না।। ;)

Thursday, August 15, 2013

শোকদিবস‬

আমার একজন বন্ধু আছে যার আজকে সত্যিই জন্মদিন।
কিন্তু সে এবং তার পরিবার কখনোই জন্মদিন উদযাপন করে না।

অনেকেই যুক্তি দেখায় যে,
প্রতিদিনই কেউ না কেউ জন্মে আবার কেউ না কেউ মারা যায়
- তাই বলে কি কোন জন্মদিনই পালন হবে না?!

সেই বন্ধুটি ওই যুক্তিবাদীদের একটাই উত্তর দেয়,
"জন্ম-মৃত্যু আমাদের হাতে নেই, কিন্তু লজ্জাটা আছে।"
যার বুঝার সে বুঝে যায়।

বন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতির কিয়দাংশের প্রতি প্রশ্ন রাখছি,
"হে বাঙালী জাতির কিয়দাংশ, তুমি এতো নির্লজ্জ কেন?"

এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে দেবার দরকার নেই,
পারলে প্রশ্নখানা বিবেকের কাছে করুন।

Friday, July 19, 2013

"তুই রাজাকার"

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে ছাগুসম্রাটদের
বেশুমার চুলকুনির একটা গোপন কারণ জানতে পারলাম।
অনেকদিন আগে যখন রাজাকার পুনর্বাসন
প্রক্রিয়া ওপেন সিক্রেট ভাবে চলছিল,
তখন দেশে এইসব টপিকে কথা বলা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।
সেই সময় হুমায়ূন আহমেদ পাখির মুখে বসিয়ে দিলেন,
"তুই রাজাকার..."

ব্যাস আর যায় কোথায়!!!
ছাগুকুলের ইনস্ট্যান্ট জ্বলুনি শুরু...
সেই যে শুরু, আজও তা চলছে।
আজও মানুষ ছাগুগুরুদের দেখলেই বলে উঠে,
"তুই রাজাকার"

মানুষ হুমায়ূন আহমেদ আজ নেই,
হৃদয়ের হুমায়ূন আহমেদ কিন্তু আছেন।
আর মননে সেই যে বসিয়ে দিয়ে গেছেন,
"তুই রাজাকার..."
সেই কথা আজও মুখে মুখে...

তাই ছাগুকুল যতই ম্যাতকার দেবে,
ততই সমস্বরে বলে যাব, "তুই রাজাকার"

Thursday, July 4, 2013

চলেন ঘৃণা না করে বদল করার চেষ্টা করি।

"রাজনীতি ঘৃণা করি" বলে হাত পা গুটিয়ে
বসে থাকা দলে লোকের কিন্তু অভাব নেই।
অথচ এই লোকগুলি রাজনীতি চেঞ্জ করি বলে
কোনোদিনই কিছু করার চেষ্টা করে নি।

পৃথিবীতে ভালোও আছে খারাপও আছে।
এখন খারাপের সংখ্যা কিছু কম বেশী বলে
"পৃথিবী হেট করি"
এই কথা বলে দিলেই তো আর হয় না।

আপনি "হেট করি" বলে দূরে সরে থাকেন বলেই
রাজনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খারাপ লোকেরা সুযোগ পায়।

গুটি কয়েকজনে বেশী ভালো কিছু করা সম্ভব না,
কিন্তু অনেকে এগিয়ে এলে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব।

রাজনীতিও বদল করা সম্ভব।

Sunday, June 16, 2013

আফসোস, সাধ আছে - সাধ্য নাই!

দিবস টিবসের ধার কোন কালেই বিশেষ ধারতাম না,
আজও তেমন একটা পুছি না।

বাবা আমার বটবৃক্ষ,
সারাবছর ছায়া দেয় - মায়া দেয়
সময় সময় কাউমাউও করে।

আবার,
বাবা আমার বাঁশঝাড়;
সব সময় না - তয় প্রায় সময়ই বাঁশ দেয়।
সিধা রাখে আর কি..!

তাই আমার আবেগ খানও সিধাসিধি...
সারাবছর - সারাজীবন...

এই বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে বছরে একদিন আবেগের
পশ্চিমা ট্রেন্ডেও অবশ্য আমার বেগ আসে,
তবে সেইয়া অন্যরকম বেগ... ;)

সাধ্য থাকলে সবগুলি বৃদ্ধাশ্রম তুইলা দিতাম,
বৃদ্ধাশ্রম নামের শব্দ খানাই আর রাখতাম না অভিধানে...

আফসোস, সাধ আছে - সাধ্য নাই!

Saturday, June 15, 2013

মাতৃভক্তি বা ঘাউরামিঃ যা মন চায় কইতে পারেন

বাংলায় একটা মজার কথা আছে,
"আপনা মায়ে সালাম পায় না,
খালা শাশুড়িরে পেন্নাম করা লইয়া পীড়াপীড়ি!"

চে কে নিয়ে চলে আসা আদিখ্যেতাকে
আমি এমনভাবেই দেখি..

ক্যান?!
আমার মতিউর চুরুট টানে না বইলা?!
নাকি আমার হামিদুর দেখতে খ্যাত?!
ও, নূর মোহাম্মদ তো সেপাই ছিলেন,
কমরেড লালে লাল মিয়া ছিলেন না... তাই?!
ব্লাডি সেপাইরে পাত্তা দেয় কে?!
যত্তসব মোরন'স্‌ ...

কিন্তু আমার ৩০ লাখের উপর শহীদ আছে,
যাদের রক্তের রঙ চে'র লাল বিপ্লবের থেকে অধিকতর লাল..
সেই লালিমার ছটায় অনেকের চোখ ঝলসে যেতে পারে কিন্তু,
সাবধান..

এই চে'রা কিন্তু আমাদের পাইপটানা,
ব্যাকব্রাশ করা, শক্ত ব্যাকবোনওয়ালা এক নেতারে সমীহ করত...
আজো করে বইলাই জানি।
সেই রকম কুল আর ড্যাম স্মার্ট ছিল লোকটা... আমাদের নেতা.....

যারে দেইখা হেতারা বলছিল,
"হিমালয় দেখি নি, কিন্তু মুজিবকে দেখেছি - হিমালয় দেখা হয়ে গেছে..."

একই কথা আমার শেরে-বাংলা,
সোহ্‌রাওয়ার্দীরে, ওসমানী - ভাসানিরে নিয়াও প্রযোজ্য!
কিন্তু হেগোঁরে পুছে ক্যাঠা?! টাইম আছে?!!

শেষে বলি,
আমার মা দেখতে ঐশ্বরিয়া রায় থেকে ভালো না হইতে পারে,
তবু আমি নিজের মারে ফালাইয়া ঐশ্বরিয়ারে মা ডাকুম না।

এইটারে মাতৃভক্তি বা ঘাউরামি যা মন চায় কইতে পারেন।
আই ডোন্ট গিভ অ্যা ড্যাম..

Wednesday, June 12, 2013

আসেন, নসিহতের পূর্বে খাসলত বদলাই; ফজিলত ভালো হবে!

ভারতের গরু হররোজ খাই,
গাড়ীতে বাড়ীতে ভারতীয় গান বাজাই,
ভারতীয় ঢঙে, ভারতের রঙে কাপড় ফ্যাশন না হইলে চলে না।
আবার ভারতের শাড়ি না পাইলে বাংলার নারীদের মন গলে না!
এতসব যখন করেন,
তখন আমাদের-বোনেদের-ভায়েদের ভারত-ভীতি কই থাকে?!
তামিম ভাই গায়ে হলুদে
ওপারের শিল্পী আনতে চাইলেই দেখি অনেকের ভয় জাগে?!

খবরে দেখলাম,
আমাদের ক্রিকেট স্টার তামিম ভাই নাকি
দুইজন ভারতীয় শিল্পী আনবেন উনার গায়ে হলুদে!

আর তাতে অনেকের মনে কষ্ট শুরু হইছে!
তাদের আমি এই কষ্টের জন্য দোষ দেই না।

দোষ দেই এই জন্যে যে
এই কষ্ট কেন আরও আগে থেকে শুরু হইলো না।

ভারতের পণ্যে আমাদের বাজার সয়লাব,
পেয়াজ খানও ইন্ডিয়ার থে আইনা খাই -
আর এখন ভারতের শিল্পী আসলেই বুক ফাটাই!
তাই না?!

দেশের জন্য এতো দরদ থাকলে
তামিম ভায়ের সমালোচনা না কইরা,
আসেন আগে নিজেরা শোধরাই..
আসেন, দেশের ছোটো পিয়াজ খাই..

পুনশ্চঃ
তামিম ভাই,
আপনে এই ভারতীয় পণ্য-সেবা আর ধারার
গড্ডালিকায় গা না ভাসাইলে খুব ভালো লাগতো..
কিন্তু ভারতের গরু খাইয়া তো আর আপনেরে নসিহত করতে পারি না,
তাই অফ গেলাম।।

তামিম ভাইরে নসিহতের পূর্বে নিজেরা খাসলত বদলাই,
তাইলে আখেরে ফজিলত ভালো হবে!

Monday, June 3, 2013

মন সাদা না হইলে, সাদা চাম্রা ধুইয়া কি পানি খাবি??!

জনৈক কন্যার চাকুরী হয় না।
 কারণ সে কালো।
তার বাবার আফসোসের শেষ নাই।
বাবার আফসোস বলিয়ে ছাড়ে-
"আমার যদি একটা ছেলে থাকতো!"

অতঃপর সেই কন্যা হাতে পায় ফেয়ার এন্ড লাভলী।
মাত্র ৭ দিনেই নজরকাড়া ফরসা।

যে মেয়ে আগে চাকরী পেতো না,
সে তখন আস্ত হটকেক।

যে কেক খাওয়ার জন্য অফিসের বসেরা তিন পায়ে খাড়া!

যে সমাজে সবখানেই এরকম বর্ণবৈষম্য চালু আছে;
সে দেশে মিতুর মতো মেয়েরা মরবে এটাই তো বাস্তব!

সুশীলদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখতে দেখতে ক্লান্ত..

আজকে যারা মিতুর জন্য মায়াকান্না কাঁদছে,
তারাই আবার সময়মত নিজেদের জন্য
সাদা চামড়ার মেয়ের খোঁজে যাবে।

নিজের পরিবারে ফেয়ার এন্ড আগলি ঘষবে..
পরিবারের মান রাখতে হবে না?!
আজিব!

বলি "মনের মানুষ" হ রে সমাজ,
"মানের মানুষ" আর কত?!
মানীর মান আল্লাহয় রাখে...

মন সাদা না হইলে,
সাদা চাম্রা ধুইয়া কি পানি খাবি??! 

Sunday, May 19, 2013

সব রসুনের গোঁড়া একই

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, কালের কন্ঠ
এই পত্রিকাগুলোর সম্পাদকসহ ১৬ টি গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিল!!!

সাধু সাধু!
স্বজাতির জন্য এইটুকু উনারা করতেই পারেন!

কিন্তু কাবার গিলাফ চরানোর ছবি নিয়ে করা মিথ্যাচার সহ
মাহমুদুর রহমানের অসংখ্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে
বিবৃতি কেউ দিল না।

বলা যায়,
বিবৃতির অভাবে বিব্রতবোধ করলাম।

মনে প্রশ্ন আসলো,
এই ডাবল রোলের কারণ কি?

দুইটা প্রবাদ মনে পড়লো,
কাক নাকি কাকের মাংস খায় না।
আর, সব রসুনের গোঁড়া একই...
এই রসুনের নাম হলুদ সাংঘাতিকতা!

সিদ্ধান্তঃ
আগামীকাল থেকে ওই ১৬ টি পত্রিকা নিজে কেনা বন্ধ করে,
অন্যদেরও ওই পত্রিকাগুলি কিনতে নিরুৎসাহিত করব।
জানি এইটা খুব বেশি কিছু না।
তবুও ব্যক্তিগত ভাবে এই কাজটি আমি করবো।

Friday, May 17, 2013

প্রসঙ্গঃ ফেইসবুক-টুইটার নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ

"রামুকাণ্ডে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি
ফেইসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের
ওয়েবসাইটগুলোতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সুপারিশ করেছে।"

এইটা হইলো নিরীহ পাবলিকরে অযথা খুচাইয়া
খেপাইয়া তোলার একটি বেহুদা প্রয়াস! হুদাই..

অপরাধ করলে শাস্তি হবে।
সেই জন্যই বিচার বিভাগ রয়েছে।
কিন্তু তাই বইলা সবার সব কর্মকান্ড কি সরকার বা প্রশাসন
তথাকথিত কঠোর নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রাখে?!

সরকার কার?
একটা গণতন্ত্রী সরকার কি গণমানুষের জন্য?
নাকি মানুষকে বিরক্ত করার জন্য?!
এই উত্তর সরকারকেই খুঁজে নিতে হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই "কঠোর নিয়ন্ত্রণ" এর
কঠিন অপব্যবহারের তীব্র এবং বাস্তব আশংকা রয়েছে।
আর সেই জন্যই এতো কথা বলা..

মানুষ এখন আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট সচেতন।
এই গণমানুষের কণ্ঠরোধের বা নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করলে কি হবে জানেন?!
"দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান!"

মাননীয় কর্তৃপক্ষ,
দয়া করে এই রকম আত্মঘাতী হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে
এমন কোন সিধান্ত নিয়েন না..

Sunday, May 12, 2013

মাকে সারাজীবন ভালবাসি, সারাজীবন কাছে রাখি

এমনিতে বিশেষ কোন দিবস টিবসের খুব একটা বালাই নাই।
তবু প্রায় ঘন্টাখানেক আগে রাত ১২টার সময় হঠাৎ মাথায় খেয়াল চাপলো
আম্মুকে "মা দিবসের" শুভেচ্ছা জানায় আসি!!

তো যেই ভাবা সেই কাজ!
লাফাইতে লাফাইতে টেং ডেডা ডাং টেং কইরা আম্মুকে শুভেচ্ছা জানাইলাম।
কিন্তু বেরসিক আম্মু আমার অভিবাদনের কোন পাত্তা না দিয়া বেজার কণ্ঠে কহিলেন,
"ঢং শেষ হইলে এবার ভাত খাইয়া আমারে উদ্ধার কর!"

আমি জায়গায় দাঁড়ায় বোল্ড!
সুবোধ বালকের মতো ভাত খাইয়া ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন (ফেবু)!

পুনশ্চঃ
দিবস টিবসের নিকুচি করি।
মাকে সারাজীবন ভালবাসি, সারাজীবন কাছে রাখি।
বছরের কোন বিশেষ দিনে ওল্ডহোমে ফুলের তোড়া নিয়ে গিয়ে
লোক দেখানো ভালবাসা আমার নাই। আর এই জন্য, আমি গর্বিত!

মাকে ভালবাসার বা এই ভালবাসা প্রকাশ করার জন্য
বিশেষ দিনক্ষণের কিছু নাই।

বরং এইটা শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো অপরিহার্য কিছু,
সারা ক্ষণ - সারাজীবনের..

Tuesday, May 7, 2013

এখনো লাশের মিছিল শেষ হয় নাই কিন্তু ভুলে যেতে দেরী হয় নাই!

বিজেএমই এর স্যারেরা,
এখনো লাশের মিছিল শেষ হয় নাই,
সাত'শ পার করেও চলছে তো চলছেই..
রক্তের দাগও মুছে নি। মিলিয়ে যায় নি পচে যাওয়া শবের গন্ধ...
স্বজনের আহাজারির কথা তো তুললামই না...

ঝাপসা চোখে আপনাদের সহ সবাইকে একটু মনে করিয়ে দেই।

এরই মধ্যে কি ভুলে গেছেন,
বেঁচে যাওয়াদের ন্যায্য বেতনটুকু দেবার কথা?!
অবশ্য দুই হপ্তা, অনেক সময়!
বড় বড় মানুষ আপনারা!! ভুলে যেতেই পারেন!!!

কোথায় এখন আপনাদের দেয়া
সাভার ভিক্টিমদের সহায়তার সেই অন্তঃসারশূন্য ঘোষণা?!
কই ঘুমিয়ে আছে আপনাদের মানবতা?!! কই কই??!

আজ কেন সাভার ভিকটিমদের
পাওনা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামতে হয়?!!!!

একটা স্যাটায়ার টাইপের লেখা লিখতে বসছিলাম,
কিন্তু সাত শত লাশের ক্রমবর্ধমান মিছিলের সামনে
ঝাপসা চোখে কিছুই লিখতে পারলাম না।

আচ্ছা! শেষ একটা প্রশ্ন করি!!
ওই বকেয়া বেতনগুলাও কি আমাদের চাঁদা তুলে
নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে?!!!

Saturday, April 27, 2013

কতটা অমানুষ, অবিবেচক হলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়?

সাভারে ঘটে যাওয়া দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভবন ধসের ঘটনায়
আমাদের ক্ষমতাসীন, প্রভাবশালী মহলের কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য
আর দায়িত্ব এড়ায়া ভণ্ডামি করা দেখে মামায় প্রশ্ন করছেন যে,
"কতটা অমানুষ, অবিবেচক হলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়?"

সম্ভাব্য কিছু উত্তরঃ

জিগাইলেন মামায়, "কতটা অমানুষ, অবিবেচক হলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়?"

- যতটা হইলে ধাক্কাইয়া বিল্ডিং ফালানো যায়, এরপর আবার সেই থিউরীতে অটল থাকা হয়!

- যতটা হইলে বিভিন্ন সমাবেশে নাম কামাইতে আগ বাড়াইয়া বিস্তর খাদ্য পানীয় দেয়া যায়, কিন্তু গরীব মানুষের জন্য দরকারের সময় একটা শব্দও করা যায় না। কিছু দেওন তো "দিল্লি বহুদূর!" আরও কত চুদুরবুদুর!

- যতটা হইলে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব বাদ দিয়া এর ওর দিকে কাঁদা ছোঁড়া যায়।

- যতটা হইলে গঞ্জিকা সেবন করিয়া সংবাদ সম্মেলনে সেইরকম পিনিকিয় তত্ত্ব (তত্ত্বাবধায়ক বাতিল না হইলে সাভার কাহিনী হইত না। ভাঁড় আর কারে কয়?!) দেয়া যায়।

- যতটা হইলে সাভারে হাহাকারের সময় খালি হাতে দলবল-প্রোটোকল নিয়া গিয়া শুধুই চেহারা আর আই ভ্রু মুবারক দেখাইয়া ফিরিয়া আসা যায়। [ নিজের পুরা সঞ্চয় মুবারক খালি কইরা ওইদিনই ১২ টা অক্সিজেন ক্যান কিন্না দিছি, কিন্তু ভিভিঅ্যাঁইপিরা হাতে কইরা দশটা জুসের বোতলও নিয়া যাইতে পারে নাই। হায়রে মুবারক ভাই! কি বিচিত্র এই দেশ!! ]

- যতটা হইলে এই সময়ে আহত নিহত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে [রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অসুস্থ কাফের বুড়ির পাশে ছিলেন, যদিও সেই বুড়ি রোজ রাসূল (সাঃ) কে কষ্ট দিত] মাইকে গলা ফাটাইয়া - রগ ফুলাইয়া - ওয়াদা ভঙ্গ কইরা "গজব গজব" বইলা চিল্লান যায়। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা যায়।

- যতটা হইলে গর্তের মুখে আহত মানুষের বুকের উপর দাঁড়াইয়া ওই আহতের মুখের দিকে মাইক্রোফোন ধইরা অনুভূতি জিগান যায়। কিংবা সদ্য মৃত্যুকুপ থেকে মুক্তি পাওয়া মারাত্মক আহত মানুষগুলির মুখের সামনে মাইক দিয়া জিজ্ঞেস করা, "আপনার এখন কেমন লাগছে?!"
[একটা লাত্থি দিয়া ওই চাংবাদিক গুলারে যদি ওই মৃত্যুকূপে ফেলতে পারতাম?! কিন্তু পারি নাই। হায়! এতো অক্ষম ক্যান আমি?]

- যতটা হইলে এইরকম দিনে কর্পোরেট বাঈজি নাচের আয়োজন করা যায়।
ওই যে কথায় আছে না যে, আলুর দোষ কাটান যায় নারে ভাই... সবই আলুর দোষ... স্কয়ার করে কাটা মতির পচা আলু তো... তাই...

Friday, April 26, 2013

রামপাল আর রুপপুরঃ সাধারণ ভাবনা থেকে সামান্য প্রস্তাবনা

গরীব লোকের সুন্দর বউয়ের দিকে নাকি
সবারই একটু কেমন জানি টাইপের সুযোগসন্ধানী গোছের
কুনজর থাকে বলে শুনেছিলাম।

এখন দেখি গরীব দেশের সুন্দর বনের প্রতি
কুনজর দেবার লোকেরও অভাব নেই!

চীন-ভারত-আম্রিকা-সাম্রাজ্যবাদী দোসর
ব্লা-ব্লা ব্লা-ব্লা ইত্যাদি বিতর্ক অনেক দেখেছি।
গণবিচ্ছিন্ন সমাজতান্ত্রিক দূর্বোধ্য ওইসব বাদ্য শ্রবণের আগ্রহ একদমই নেই।

বরং একটা সিনারিয়ো বুঝার চেষ্টা করি,
সাভারে আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে তো অনেক খালি জায়গা আছে?
তাই না?!

আর আমাদের দেশে আমিষের ঘাটতিও ব্যাপক।
কিন্তু তাই বলে কি আমরা স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে মুরগী খামার দেব??

কমপ্লেক্সের ক্ষতি কিংবা আমাদের পুষ্টিসাধন এই বিষয়গুলি পরে আনি।
আগে বলি যে আমরা কি অমন করি?!

না, আমরা তা করি না।

তাহলে ইন্টারন্যাশনাল হেরিটেজ সুন্দরবনের সাথে এমন করছি কেন?!

উত্তর হয়তো আসবে শক্তি ঘাটতিজনিত ব্লা ব্লা...
(বিশাল প্রবন্ধ, হায় রে অন্ধ!)

মুরগীর খামারটা যেমন আমরা স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে না করে,
অন্য জায়গায় করি। তেমনি এই বিদ্যুৎপ্রকল্পটিও অন্য জায়গায় করা সম্ভব।

আমার প্রস্তাব,
এই ঘনবসতির দেশে রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র খুলে
মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা না বাড়িয়ে এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি
সেইখানে বানানো হউক।

বিদ্যুৎ সমস্যাও মিটে গেলো,
আর আমার সুন্দরবনও সুন্দর রইলো..