Monday, February 24, 2014

কথোপকথনঃ T20 বিশ্বকাপ থিম সং

বন্ধুবরের সহিত T20 বিশ্বকাপের মিউজিক ভিডিও দেখিতেছিলাম।
ভিডিও খানা শেষ হইয়া যাইবার পরও কারো মুখে রা নাই!

বিব্রতকর নীরবতা ভাঙ্গিয়া বন্ধুবর কহিলেন,
এইক্ষণে গ্রামীণবনগুলি উজাড় হইবার কুফল বুঝিতে পারিলাম।

সুধাইলাম,
কিরূপ? কিরূপ??
রহস্য না করিয়া ভাঙ্গিয়া কহো..

অতঃপর মিটিমিটি হাসিয়া বন্ধুবর কহিলেন,
গ্রাম কে গ্রাম বনজঙ্গল - গাছপালা বিলুপ্ত হওয়ায়,
শাখামৃগের ঝাঁক সব দল বাঁধিয়া আসিয়াছে ঢাকায়।
শহরে এই সময়ে সার্কাসেরও তেমন চল না থাকায়,
উহারা এখন মিউজিক ভিডিও বানায় - নাচে - গায়।
দেশ গ্রামে যাহাকে বাঁদরনাচ বলি, বলি বাঁদরের কিচিমিচি,
উহাই মিউজিক ভিডিওরূপে তোমাদের গিলাইতেছে মিছিমিছি।

বন্ধুবরের কথা শুনিয়া ঢোঁক গিলিলাম।
তৎক্ষণাৎ বন্ধুবর এক হাতা পানি গড়াইয়া তাহা এক হাতে ধরাইয়া;
কহিলেন, এই লহ - পান করো! গিলিতে সহজ হইবে উহা খাইয়া!!!

গুরুচণ্ডালী কথোপকথন - সকলের নাহি সহে অমৃতে অবগাহন।

Tuesday, February 18, 2014

কথোপকথনঃ স্বদেশী পণ্য ব্যবহার

বন্ধুবর কহিলেন,
আদিত্য চোপড়া বড়োই চতুর!
নতুন সিনেমার শুরুতেই একখানা নির্জলা মিথ্যার বেসাতি করিয়া
বেশ ভালো বিজ্ঞাপন করিয়া নিলো!! এখন সকলেই সেই মিথ্যার
প্রতিবাদ করিতে গিয়া ওই সিনেমার ফাও বিজ্ঞাপন করিতেছে!

কহিলাম, তাহলে কি এই মিথ্যার প্রতিবাদও করা যাইবে না?!

বন্ধুবর হাসিয়া কহিলেন,
ওই সিনেমাসহ ভারতীয় জিনিসপত্র বর্জন করিয়া
স্বদেশী জিনিসপত্র ব্যবহার শুরু করিলে উত্তম জাঝা মিলিতো!
কিন্তু করিবে কি পেয়ারতেল বাদ দিয়া টেলিটক ব্যবহার?
কিংবা স্টার পিলাস বাদ দিয়া হলে গিয়া সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত "অগ্নি" সিনেমা দর্শন?!

আমতা আমতা করিয়া কহিলাম,
ওই সিনেমা খানা নিষিদ্ধ করিলেই তো ল্যাটা চুকিয়া যায়!
বাদবাকি এতো হ্যাপা কি জাতির পোষাইবে?

এবার বিকট হাসিয়া বন্ধুবর কহিলেন,
নিষিদ্ধ করিয়া কি চুলখানা যে উল্টাইবা তাহা বিলক্ষণ জানা আছে!
যেখানে মুত্র বিসর্জন নিষিদ্ধ, বাঙ্গালী সেখানে খাড়াইয়া হালকা হইতেই
বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে! তাই ওইসব লোকদেখানো প্রতিবাদ না করিয়া
ভারতকে ভারতের ওষুধই প্রদান কর, স্বদেশী পণ্য ব্যবহার আন্দোলন করো।