Sunday, June 16, 2013

আফসোস, সাধ আছে - সাধ্য নাই!

দিবস টিবসের ধার কোন কালেই বিশেষ ধারতাম না,
আজও তেমন একটা পুছি না।

বাবা আমার বটবৃক্ষ,
সারাবছর ছায়া দেয় - মায়া দেয়
সময় সময় কাউমাউও করে।

আবার,
বাবা আমার বাঁশঝাড়;
সব সময় না - তয় প্রায় সময়ই বাঁশ দেয়।
সিধা রাখে আর কি..!

তাই আমার আবেগ খানও সিধাসিধি...
সারাবছর - সারাজীবন...

এই বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে বছরে একদিন আবেগের
পশ্চিমা ট্রেন্ডেও অবশ্য আমার বেগ আসে,
তবে সেইয়া অন্যরকম বেগ... ;)

সাধ্য থাকলে সবগুলি বৃদ্ধাশ্রম তুইলা দিতাম,
বৃদ্ধাশ্রম নামের শব্দ খানাই আর রাখতাম না অভিধানে...

আফসোস, সাধ আছে - সাধ্য নাই!

Saturday, June 15, 2013

মাতৃভক্তি বা ঘাউরামিঃ যা মন চায় কইতে পারেন

বাংলায় একটা মজার কথা আছে,
"আপনা মায়ে সালাম পায় না,
খালা শাশুড়িরে পেন্নাম করা লইয়া পীড়াপীড়ি!"

চে কে নিয়ে চলে আসা আদিখ্যেতাকে
আমি এমনভাবেই দেখি..

ক্যান?!
আমার মতিউর চুরুট টানে না বইলা?!
নাকি আমার হামিদুর দেখতে খ্যাত?!
ও, নূর মোহাম্মদ তো সেপাই ছিলেন,
কমরেড লালে লাল মিয়া ছিলেন না... তাই?!
ব্লাডি সেপাইরে পাত্তা দেয় কে?!
যত্তসব মোরন'স্‌ ...

কিন্তু আমার ৩০ লাখের উপর শহীদ আছে,
যাদের রক্তের রঙ চে'র লাল বিপ্লবের থেকে অধিকতর লাল..
সেই লালিমার ছটায় অনেকের চোখ ঝলসে যেতে পারে কিন্তু,
সাবধান..

এই চে'রা কিন্তু আমাদের পাইপটানা,
ব্যাকব্রাশ করা, শক্ত ব্যাকবোনওয়ালা এক নেতারে সমীহ করত...
আজো করে বইলাই জানি।
সেই রকম কুল আর ড্যাম স্মার্ট ছিল লোকটা... আমাদের নেতা.....

যারে দেইখা হেতারা বলছিল,
"হিমালয় দেখি নি, কিন্তু মুজিবকে দেখেছি - হিমালয় দেখা হয়ে গেছে..."

একই কথা আমার শেরে-বাংলা,
সোহ্‌রাওয়ার্দীরে, ওসমানী - ভাসানিরে নিয়াও প্রযোজ্য!
কিন্তু হেগোঁরে পুছে ক্যাঠা?! টাইম আছে?!!

শেষে বলি,
আমার মা দেখতে ঐশ্বরিয়া রায় থেকে ভালো না হইতে পারে,
তবু আমি নিজের মারে ফালাইয়া ঐশ্বরিয়ারে মা ডাকুম না।

এইটারে মাতৃভক্তি বা ঘাউরামি যা মন চায় কইতে পারেন।
আই ডোন্ট গিভ অ্যা ড্যাম..

Wednesday, June 12, 2013

আসেন, নসিহতের পূর্বে খাসলত বদলাই; ফজিলত ভালো হবে!

ভারতের গরু হররোজ খাই,
গাড়ীতে বাড়ীতে ভারতীয় গান বাজাই,
ভারতীয় ঢঙে, ভারতের রঙে কাপড় ফ্যাশন না হইলে চলে না।
আবার ভারতের শাড়ি না পাইলে বাংলার নারীদের মন গলে না!
এতসব যখন করেন,
তখন আমাদের-বোনেদের-ভায়েদের ভারত-ভীতি কই থাকে?!
তামিম ভাই গায়ে হলুদে
ওপারের শিল্পী আনতে চাইলেই দেখি অনেকের ভয় জাগে?!

খবরে দেখলাম,
আমাদের ক্রিকেট স্টার তামিম ভাই নাকি
দুইজন ভারতীয় শিল্পী আনবেন উনার গায়ে হলুদে!

আর তাতে অনেকের মনে কষ্ট শুরু হইছে!
তাদের আমি এই কষ্টের জন্য দোষ দেই না।

দোষ দেই এই জন্যে যে
এই কষ্ট কেন আরও আগে থেকে শুরু হইলো না।

ভারতের পণ্যে আমাদের বাজার সয়লাব,
পেয়াজ খানও ইন্ডিয়ার থে আইনা খাই -
আর এখন ভারতের শিল্পী আসলেই বুক ফাটাই!
তাই না?!

দেশের জন্য এতো দরদ থাকলে
তামিম ভায়ের সমালোচনা না কইরা,
আসেন আগে নিজেরা শোধরাই..
আসেন, দেশের ছোটো পিয়াজ খাই..

পুনশ্চঃ
তামিম ভাই,
আপনে এই ভারতীয় পণ্য-সেবা আর ধারার
গড্ডালিকায় গা না ভাসাইলে খুব ভালো লাগতো..
কিন্তু ভারতের গরু খাইয়া তো আর আপনেরে নসিহত করতে পারি না,
তাই অফ গেলাম।।

তামিম ভাইরে নসিহতের পূর্বে নিজেরা খাসলত বদলাই,
তাইলে আখেরে ফজিলত ভালো হবে!

Monday, June 3, 2013

মন সাদা না হইলে, সাদা চাম্রা ধুইয়া কি পানি খাবি??!

জনৈক কন্যার চাকুরী হয় না।
 কারণ সে কালো।
তার বাবার আফসোসের শেষ নাই।
বাবার আফসোস বলিয়ে ছাড়ে-
"আমার যদি একটা ছেলে থাকতো!"

অতঃপর সেই কন্যা হাতে পায় ফেয়ার এন্ড লাভলী।
মাত্র ৭ দিনেই নজরকাড়া ফরসা।

যে মেয়ে আগে চাকরী পেতো না,
সে তখন আস্ত হটকেক।

যে কেক খাওয়ার জন্য অফিসের বসেরা তিন পায়ে খাড়া!

যে সমাজে সবখানেই এরকম বর্ণবৈষম্য চালু আছে;
সে দেশে মিতুর মতো মেয়েরা মরবে এটাই তো বাস্তব!

সুশীলদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখতে দেখতে ক্লান্ত..

আজকে যারা মিতুর জন্য মায়াকান্না কাঁদছে,
তারাই আবার সময়মত নিজেদের জন্য
সাদা চামড়ার মেয়ের খোঁজে যাবে।

নিজের পরিবারে ফেয়ার এন্ড আগলি ঘষবে..
পরিবারের মান রাখতে হবে না?!
আজিব!

বলি "মনের মানুষ" হ রে সমাজ,
"মানের মানুষ" আর কত?!
মানীর মান আল্লাহয় রাখে...

মন সাদা না হইলে,
সাদা চাম্রা ধুইয়া কি পানি খাবি??!