Sunday, May 19, 2013

সব রসুনের গোঁড়া একই

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, কালের কন্ঠ
এই পত্রিকাগুলোর সম্পাদকসহ ১৬ টি গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিল!!!

সাধু সাধু!
স্বজাতির জন্য এইটুকু উনারা করতেই পারেন!

কিন্তু কাবার গিলাফ চরানোর ছবি নিয়ে করা মিথ্যাচার সহ
মাহমুদুর রহমানের অসংখ্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে
বিবৃতি কেউ দিল না।

বলা যায়,
বিবৃতির অভাবে বিব্রতবোধ করলাম।

মনে প্রশ্ন আসলো,
এই ডাবল রোলের কারণ কি?

দুইটা প্রবাদ মনে পড়লো,
কাক নাকি কাকের মাংস খায় না।
আর, সব রসুনের গোঁড়া একই...
এই রসুনের নাম হলুদ সাংঘাতিকতা!

সিদ্ধান্তঃ
আগামীকাল থেকে ওই ১৬ টি পত্রিকা নিজে কেনা বন্ধ করে,
অন্যদেরও ওই পত্রিকাগুলি কিনতে নিরুৎসাহিত করব।
জানি এইটা খুব বেশি কিছু না।
তবুও ব্যক্তিগত ভাবে এই কাজটি আমি করবো।

Friday, May 17, 2013

প্রসঙ্গঃ ফেইসবুক-টুইটার নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ

"রামুকাণ্ডে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি
ফেইসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের
ওয়েবসাইটগুলোতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সুপারিশ করেছে।"

এইটা হইলো নিরীহ পাবলিকরে অযথা খুচাইয়া
খেপাইয়া তোলার একটি বেহুদা প্রয়াস! হুদাই..

অপরাধ করলে শাস্তি হবে।
সেই জন্যই বিচার বিভাগ রয়েছে।
কিন্তু তাই বইলা সবার সব কর্মকান্ড কি সরকার বা প্রশাসন
তথাকথিত কঠোর নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রাখে?!

সরকার কার?
একটা গণতন্ত্রী সরকার কি গণমানুষের জন্য?
নাকি মানুষকে বিরক্ত করার জন্য?!
এই উত্তর সরকারকেই খুঁজে নিতে হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই "কঠোর নিয়ন্ত্রণ" এর
কঠিন অপব্যবহারের তীব্র এবং বাস্তব আশংকা রয়েছে।
আর সেই জন্যই এতো কথা বলা..

মানুষ এখন আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট সচেতন।
এই গণমানুষের কণ্ঠরোধের বা নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করলে কি হবে জানেন?!
"দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান!"

মাননীয় কর্তৃপক্ষ,
দয়া করে এই রকম আত্মঘাতী হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে
এমন কোন সিধান্ত নিয়েন না..

Sunday, May 12, 2013

মাকে সারাজীবন ভালবাসি, সারাজীবন কাছে রাখি

এমনিতে বিশেষ কোন দিবস টিবসের খুব একটা বালাই নাই।
তবু প্রায় ঘন্টাখানেক আগে রাত ১২টার সময় হঠাৎ মাথায় খেয়াল চাপলো
আম্মুকে "মা দিবসের" শুভেচ্ছা জানায় আসি!!

তো যেই ভাবা সেই কাজ!
লাফাইতে লাফাইতে টেং ডেডা ডাং টেং কইরা আম্মুকে শুভেচ্ছা জানাইলাম।
কিন্তু বেরসিক আম্মু আমার অভিবাদনের কোন পাত্তা না দিয়া বেজার কণ্ঠে কহিলেন,
"ঢং শেষ হইলে এবার ভাত খাইয়া আমারে উদ্ধার কর!"

আমি জায়গায় দাঁড়ায় বোল্ড!
সুবোধ বালকের মতো ভাত খাইয়া ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন (ফেবু)!

পুনশ্চঃ
দিবস টিবসের নিকুচি করি।
মাকে সারাজীবন ভালবাসি, সারাজীবন কাছে রাখি।
বছরের কোন বিশেষ দিনে ওল্ডহোমে ফুলের তোড়া নিয়ে গিয়ে
লোক দেখানো ভালবাসা আমার নাই। আর এই জন্য, আমি গর্বিত!

মাকে ভালবাসার বা এই ভালবাসা প্রকাশ করার জন্য
বিশেষ দিনক্ষণের কিছু নাই।

বরং এইটা শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো অপরিহার্য কিছু,
সারা ক্ষণ - সারাজীবনের..

Tuesday, May 7, 2013

এখনো লাশের মিছিল শেষ হয় নাই কিন্তু ভুলে যেতে দেরী হয় নাই!

বিজেএমই এর স্যারেরা,
এখনো লাশের মিছিল শেষ হয় নাই,
সাত'শ পার করেও চলছে তো চলছেই..
রক্তের দাগও মুছে নি। মিলিয়ে যায় নি পচে যাওয়া শবের গন্ধ...
স্বজনের আহাজারির কথা তো তুললামই না...

ঝাপসা চোখে আপনাদের সহ সবাইকে একটু মনে করিয়ে দেই।

এরই মধ্যে কি ভুলে গেছেন,
বেঁচে যাওয়াদের ন্যায্য বেতনটুকু দেবার কথা?!
অবশ্য দুই হপ্তা, অনেক সময়!
বড় বড় মানুষ আপনারা!! ভুলে যেতেই পারেন!!!

কোথায় এখন আপনাদের দেয়া
সাভার ভিক্টিমদের সহায়তার সেই অন্তঃসারশূন্য ঘোষণা?!
কই ঘুমিয়ে আছে আপনাদের মানবতা?!! কই কই??!

আজ কেন সাভার ভিকটিমদের
পাওনা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামতে হয়?!!!!

একটা স্যাটায়ার টাইপের লেখা লিখতে বসছিলাম,
কিন্তু সাত শত লাশের ক্রমবর্ধমান মিছিলের সামনে
ঝাপসা চোখে কিছুই লিখতে পারলাম না।

আচ্ছা! শেষ একটা প্রশ্ন করি!!
ওই বকেয়া বেতনগুলাও কি আমাদের চাঁদা তুলে
নিয়ে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে?!!!