Monday, October 28, 2013

অনন্ত জলিল - মানবিক উৎকর্ষ এবং কিছু কথা

অনন্ত জলিল আহনাফ এর চিকিৎসা খরচের জন্য
২ লক্ষ টাকা দিয়ে আহনাফ এর সুস্থতা কামনা করেছেন।
এইটা অবশ্যই উনার একটা অতি ভালো কাজ।
আল্লাহ ওনাকে এই রকম ভালো কাজের আরও তৌফিক দান করুন।
আমিন।

তবে এই মানবিক উৎকর্ষের কারণে
উনার বিগত সময়ের অখাদ্য কুখাদ্যকে উত্তম বলার পক্ষপাতী নই।
ভালো কাজে উৎসাহ দান - সাধ্যমত অংশগ্রহণের পাশাপাশি
মানহীন কাজে নিরুৎসাহিত করাও একটি দায়িত্ব।

"আপনি মহৎ কাজ কিছু করিয়াছেন ভাই,
তাই আপনার মানহীন কর্মগুলিরও গুণ গাই!"
আসুন এমন দুমুখো নীতির বিরুদ্ধে যাই!!
কারণ, মানহীন কাজের গুণ বলে কিছু নাই।।

দুধ দেয়া গরুর নাকি লাথিও খাওয়া যায়,
লাথি খেয়ে দেখো তব দাঁত হারিয়েছো হায়!

অনন্ত জলিল - এরকম ভালো ভালো কাজ করে সবার হৃদয়ে স্থান করে নেবেন;
এই শুভ কামনাই থাকলো।।

Tuesday, October 22, 2013

কবির ভাই সমাচারঃ শুভ জন্মদিন পর্ব

অনেক সাধনার পর অসাধ্য সাধন হইলো।
প্রিয় কবির ভাই উনার জন্মদিনে পার্টি দিতে নিমরাজি হইলেন।

নিমরাজি হইবার কারণ অলক ভায়ের হুমকি!
অলক ভাইয়ের পরিচিত দুজন কিঞ্চিত ইয়ে(!)যুক্ত ছেলে আছে।
যারা কবির ভায়ের উপর একটু ইয়ে মানে ইয়ে(!)ভাবে আকৃষ্ট!!
পার্টি না দিলে তাদেরকে কবির ভায়ের বাসা চিনিয়ে দেয়া হবে
- এই হুমকিতে কাজ হলো।

যাইহোক, কবির ভায়ের বার্থডে গিফট হিসেবে দেয়া হলো
একটি "ডোরেমন" পুতুল (উনার ফেবারিট)
আর বহু আকাঙ্ক্ষিত একটি ফোন নাম্বার!

তো উনি বাসায় গিয়ে সেই নাম্বারে ফোন দিলেন।
বহু কাঙ্খিত সেই কল।
ওই প্রান্তে ফোন ধরলো। কথা শুরু হলো।

পরিচয় পর্ব শেষ হতে না হতেই শুরু হলো
এয়ারে পেয়ারতেলের বিখ্যাত নেটওয়ার্ক সমস্যা!
কথা কেটে কেটে আসছে - কেউ কারো কথা বুঝছে না।

কবির ভাই বলেন, "হ্যালো হ্যালো"
ওপ্রান্ত থেকেও বলে, "হ্যালো হ্যালো"
এক পর্যায়ে কবির ভাই বলা শুরু করলেন,
"হ্যালো 143, 143"
নেটওয়ার্ক সমস্যা কমে এলো, সূচনা হলো অন্য সমস্যার!

ওপাশ থেকে শুধায়,
"হ্যালো 143" মানে কি?!
উনি ব্যাখ্যা দেন,
"ওই যে মাইক্রোফোন টেস্ট করে না, ওমনি করলাম আর কি?"
বলেই সেই বিগলিত হাসি!

ওপ্রান্ত থেকে অবজেকশন আসলো, "ওটা তো 123 বলে, 143 না!"
আবার একখানা বিগলিত হাসি হেসে কবির ভাই বললেন,
"ওই একটু বদলে বললাম - বুঝেছেন তো!"

ওপ্রান্ত থেকে জানালো যে, বুঝে নি, তবে এই বদল ভালো লেগেছে!
কবির ভাই তো এবারে বিগলিত হতে হতে গলন্ত মোম!
তিনি ফোনে একটা পাখি, তিনটা পাখি আর চারটা পাখির
বিশ্লেষণ শুরু করতে গিয়ে ইতিহাস - পাতিহাস - দুর্বা ঘাস
সব কিছু নিয়ে লেকচার দেয়া শুরু করলেন!

কিন্তু বিপত্তি দেখা গেলো অন্য খানে।
এতো ব্যাখ্যার ভিড়ে আসল টপিকটাই হারিয়ে গেলো!
এক পর্যায়ে খুব সম্ভবত ওই প্রান্ত ঘুমিয়ে গেলো!
(এইটা কবির ভাই অবশ্য স্বীকার করেন নি)

এভাবেই শেষ হলো বুঝি একটি সম্ভাবনার! ;)

পরদিন কবির ভাই এসে ঘটনা বলে মন্তব্য করলেন,
"তেমন লাভ হলো না! গবেট গবেট! কিছুই জানে না - বোঝে না।"

আকাশ ভাই বলে,
"আপনেরে পরিচয় করায়া নাম্বার দিসি কথা বলতে আর আপনে দিসেন লেকচার!
ওই মিয়া আপনেরে কি ক্লাশ নিতে কইছি হের?! আপনে বলবেন কথা,
সেইটা না বইলা হুদাই প্যাচাইছেন আর আইয়্যা কইতেছেন গবেট গবেট!"

শুনে কবির ভাই মিটিমিটি হাসেন আর খুকুর খুকুর করে কাশেন।

আন্নু ভাই বললেন,
"আরে ভাই! আপনে হাসেন নাকি কাশেন?!
সিধা বইলা দেন তারে যে আপনি ভালবাসেন।
প্যাচপুচ বাদ দিয়া একটা পরিস্কার সিদ্ধান্তে আসেন,
এইটা তো আলাদিনের চেরাগ না যে ঘসেন শুধু ঘসেন!!" ;)

তাও কবির ভাই কাশেন, বলেন
"143 তো বলছি, এইটা সে না বুঝলে তো আমাকে ক্যামনে বুঝবে?!"
সুমিত ভাই বলে উঠলেন, "আপনি কি তারে এই টপিকে বুঝাইছেন?!"
উত্তর আসে, "এর আশেপাশেই তো বুঝাইছি!"

চিশ্চতি ভাই কনক্লুশন টানেন,
"বাদ দে! কবির ভয় পাইছে তাই প্যাচানি শুরু করছে।
এই লোক শুধরাবে না খালি প্যাচাবে। আর হুদাই আমাদের মুখ খরচ হবে।"

সবাই হতাশ। কবির ভাই তখনো জপে যাচ্ছেন,
"143 বোঝো না - আমাকে কি বুঝবে?!"

Friday, October 18, 2013

কবির ভাই সমাচারঃ হন্টন টনটন পর্ব

হাঁটতে হাঁটতে ঠাস করে কবির ভাই বলে বসলেন, "এবছরই বিয়ে করবো..."

পুরো কাফেলা এক পলকের জন্যে থমকে হাসির দমকে ফেটে পড়লো।

আকাশ ভাই বললেন, "বছরের তো মাত্র দুমাস বাকি! ক্যামনে কি?!"

"এই মানে আগামী বছরের মধ্যেই আর কি!" খানিক বিব্রত কবির ভাই। পল্টি মাত্র শুরু।।

ওপাশ থেকে চিশতী ভাই বাজী ধরলেন, "কবির যদি আগামী চউদ্দ মাসের মধ্যেও বিয়ে করে তবে পার্টি দিবো, আর না করলে কবির পার্টি দেবে। - বুফে হবে, বুফে।।"

শুনেই কবির ভাই আঁতকে উঠলেন, "কিসের পার্টি?! আজব তো! বিয়া করলেও ছিলবি, আবার না করলেও ছিলবি! এসব কি?! কোনো পার্টি ফার্টি হবে না।" এই গেলো পল্টির অর্ধেক খানা।

সাথে সাথে চিশতী ভাই বলে, "দেখো দেখো, গণেশ উলটানো শুরু হয়ে গেছে। এরপর বলবে বিয়েই করবো না আর দোষ দেবে আমাদের..."

তৎক্ষণাৎ শুরু হলো পল্টির বাকি টুকু। কবির ভাই বললেন, "ঠিক বলেছিস!! বিয়ের মতো বিরাট শুভ একটা কাজের জন্য আজে বাজে বাজী লাগা ঠিক হবে না। বিয়ে পোস্টপোন্‌ড করা হউক।"  কি সে যুক্তি!!!

আকাশ ভাই তো ক্ষেইপা ফায়ার! কয়, "বুইড়া খাটাশ! দাঁড়ি পাকা ধরছে তবু বিয়ার নাম হুনলে পিছায় - দাওয়াত দিতে হইবো বইলা! চিন্তা করছেন?!"

কবির ভাই আবার সেই বিগলিত হাসি দিয়ে বললেন, "ঠিক বলেছিস! আর জানিসই তো বউ হইতে বই উত্তম!"

বইয়ের পোকা কবির ভায়ের এহেন পল্টি দেখে সবাই হতবাক!

পিছন থেকে রিফাত বলে উঠলো, "আপনেরা খামোখাই এতো মুখ খরচ করলেন। আমি দেখেন শুরু থেইকাই চুপ আছিলাম! আহ্‌ কি ডায়লগ! বউ হইতে বই উত্তম - কি বলেন ভাইলোগ?!"

"হ, তুই ওরে আরও তাল দেস..." বইলাই আকাশ ভাই ঝাঁপায় পড়লো কিলের বস্তা নিয়া - এরপরের সম্মিলিত কিলাকিলি গুলি রিফাতের ওপর দিয়া গেলো। আর সিনিয়ার হওয়ায় কবির ভাইকে দিতে না পারা কিলগুলিও রিফাত কাউ মাউ করতে করতে খাইলো... ;)

#গল্প - বাস্তবের ফ্রেমে কল্পচিত্র আঁকার স্বল্প প্রয়াস!

Monday, October 14, 2013

হাঁটুরে গপ্প

দুই বড়ভাই গরু কিনতে হাটে গেছেন।
প্রাথমিকভাবে উনারা ষাঁড় কিনবেন বলে ঠিক করেন।
দরদাম করে বেশ কমের মধ্যে একটা লাল গরু উনাদের পছন্দ হলো।
তো কিনে ফেললেন। বড়ো ঠাণ্ডা মেজাজের সে গরু।
দুইজনে তো বেজায় খুশি, এতো লক্ষ্মী গরু!

বাসার দিকে আসছেন।
পথে মানুষজন গরুর দাম জিজ্ঞেস করে আর অবাক হয়।
"মাশাল্লাহ্‌, ভালো হয়েছে।" বলে প্রশংসাও করেন অনেকে।

কিন্তু মাঝপথে একজন গরুর দাম শুনে চট করে গরুর নিচের দিকে উঁকি দেন।
ঠাস করে দাঁড়িয়ে আঙ্গুল তুলে বললেন, "আরে ভাই! এইটা তো গাই, গাই!!"

"গাই!" ও মোর খোদা!
কিনতে গেলাম ষাঁড় - লইলাম গাই!!
কেনার সময় তো আর নিচে তাকাই নাই!!!

দুইজনের তো আক্কেলগুড়ুম অবস্থা!

এখন বাসায় গিয়ে কি বলবেন?
"ষাঁড়ের জায়গায় গাই! কি করলাম ভাই" টাইপ অবস্থা।

শেষে বুদ্ধি করা হলো বলা হবে যে,
"গাভীর চেহারা মায়াময়, চোখে মায়া - মুখে মায়া,
এমন কি ডাকেও কি সে সুগভীর মায়া!"
মায়ার টানেই এই গাই কিনলাম ভায়া!!

ঘটনা জানার পর মায়াই লাগছে!
না, ভাইয়েদের ষাঁড় ভেবে গাভী কেনার জন্য না।
গাইটার জন্য...

 গরু কিনতে গেলে সাবধান,
এই জিনিসটা মনে রেখে যান।
একবার হলেও নিচে তাকানো চাই,
নাইলে ষাঁড় ভেবে নিয়ে আসবেন গাই!!

Saturday, October 5, 2013

যত দোষ - সব নন্দ ঘোষ!!

এক বড়ভায়ে কইলো,
"সরকার রামপাল ইস্যুরে ধামাচাপা দিতেই এই সাকারে ফাঁসি দিছে!
সাকা ইস্যু তুইলা সরকার মানুষরে রামপাল ইস্যু থেকে সরায়া দিছে!"

কইলাম, "আপনের কথা সত্য ধরলে তো দুষ বেশী আপনের!"
জিগাইল, "ক্যামনে?"

বুঝাইলাম,
"আপনে নতুন ইস্যু পাইলেই যদি আগের সব ভুইলা যান, তাইলে দোষ কার?!"
এবারও কয়, "দোষ সরকারের"

কইলাম, "জী ভাই! যত দোষ - সব নন্দ ঘোষ!!"

তখন পাশ থেকে আরেক বড়ভাই কইলো, "একটা কথার কথা বলি! আপনে বউ পায়া যদি মায়েরে ভুইলা যান, তয় সেই দোষটাও সরকারের কান্ধে দিয়া দিয়েন!"



  ধামাচাপা - কেউ দিতে চাইলেই আপনে মাইনা লইবেন ক্যান?!

Thursday, October 3, 2013

কমনসেন্স - এতো আনকমন ক্যান?!

রেজাল্ট দেবার অল্পসময় আগেই তা কেউ ফাঁস করে দেবার মানে হচ্ছে সে চোর! 
এতে এর থেকে বেশী কিছু প্রমাণ হয় না। 

যে ফার্স্ট হবার সে হবেই যে ফেল করার সে ফেইল করবেই। 
রেজাল্ট আসমান থেকে আসে না,
পরীক্ষায় কি করছেন সেইটা সহ এবং সেইটা থেকেই আসে। 


তাই রিপোর্ট কার্ড হাতে নেন। 
মিলায় দেখেন - দরকার মনে হইলে পুনঃনিরীক্ষণ করতে দেন। 

কিন্তু আপনি একটু আগেই রেজাল্ট জানছেন বইলা সেইটা বাতিল হয়ে যায় না। 
বরং যার থেকে জানছেন সে চোর - কেবলমাত্র এইটাই প্রমাণ হয়।

চাইলে শব্দগুলো এভাবেও পড়তে পারেন।
রেজাল্ট = রায়
রিপোর্ট কার্ড = রায়ের কপি
পুনঃনিরীক্ষণ = আপিল
  

কমনসেন্স - মাঝে মাঝে ভেরি আনকমন থিং মনে হয়!