Saturday, April 27, 2013

কতটা অমানুষ, অবিবেচক হলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়?

সাভারে ঘটে যাওয়া দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভবন ধসের ঘটনায়
আমাদের ক্ষমতাসীন, প্রভাবশালী মহলের কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য
আর দায়িত্ব এড়ায়া ভণ্ডামি করা দেখে মামায় প্রশ্ন করছেন যে,
"কতটা অমানুষ, অবিবেচক হলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়?"

সম্ভাব্য কিছু উত্তরঃ

জিগাইলেন মামায়, "কতটা অমানুষ, অবিবেচক হলে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়?"

- যতটা হইলে ধাক্কাইয়া বিল্ডিং ফালানো যায়, এরপর আবার সেই থিউরীতে অটল থাকা হয়!

- যতটা হইলে বিভিন্ন সমাবেশে নাম কামাইতে আগ বাড়াইয়া বিস্তর খাদ্য পানীয় দেয়া যায়, কিন্তু গরীব মানুষের জন্য দরকারের সময় একটা শব্দও করা যায় না। কিছু দেওন তো "দিল্লি বহুদূর!" আরও কত চুদুরবুদুর!

- যতটা হইলে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব বাদ দিয়া এর ওর দিকে কাঁদা ছোঁড়া যায়।

- যতটা হইলে গঞ্জিকা সেবন করিয়া সংবাদ সম্মেলনে সেইরকম পিনিকিয় তত্ত্ব (তত্ত্বাবধায়ক বাতিল না হইলে সাভার কাহিনী হইত না। ভাঁড় আর কারে কয়?!) দেয়া যায়।

- যতটা হইলে সাভারে হাহাকারের সময় খালি হাতে দলবল-প্রোটোকল নিয়া গিয়া শুধুই চেহারা আর আই ভ্রু মুবারক দেখাইয়া ফিরিয়া আসা যায়। [ নিজের পুরা সঞ্চয় মুবারক খালি কইরা ওইদিনই ১২ টা অক্সিজেন ক্যান কিন্না দিছি, কিন্তু ভিভিঅ্যাঁইপিরা হাতে কইরা দশটা জুসের বোতলও নিয়া যাইতে পারে নাই। হায়রে মুবারক ভাই! কি বিচিত্র এই দেশ!! ]

- যতটা হইলে এই সময়ে আহত নিহত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে [রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অসুস্থ কাফের বুড়ির পাশে ছিলেন, যদিও সেই বুড়ি রোজ রাসূল (সাঃ) কে কষ্ট দিত] মাইকে গলা ফাটাইয়া - রগ ফুলাইয়া - ওয়াদা ভঙ্গ কইরা "গজব গজব" বইলা চিল্লান যায়। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা যায়।

- যতটা হইলে গর্তের মুখে আহত মানুষের বুকের উপর দাঁড়াইয়া ওই আহতের মুখের দিকে মাইক্রোফোন ধইরা অনুভূতি জিগান যায়। কিংবা সদ্য মৃত্যুকুপ থেকে মুক্তি পাওয়া মারাত্মক আহত মানুষগুলির মুখের সামনে মাইক দিয়া জিজ্ঞেস করা, "আপনার এখন কেমন লাগছে?!"
[একটা লাত্থি দিয়া ওই চাংবাদিক গুলারে যদি ওই মৃত্যুকূপে ফেলতে পারতাম?! কিন্তু পারি নাই। হায়! এতো অক্ষম ক্যান আমি?]

- যতটা হইলে এইরকম দিনে কর্পোরেট বাঈজি নাচের আয়োজন করা যায়।
ওই যে কথায় আছে না যে, আলুর দোষ কাটান যায় নারে ভাই... সবই আলুর দোষ... স্কয়ার করে কাটা মতির পচা আলু তো... তাই...

Friday, April 26, 2013

রামপাল আর রুপপুরঃ সাধারণ ভাবনা থেকে সামান্য প্রস্তাবনা

গরীব লোকের সুন্দর বউয়ের দিকে নাকি
সবারই একটু কেমন জানি টাইপের সুযোগসন্ধানী গোছের
কুনজর থাকে বলে শুনেছিলাম।

এখন দেখি গরীব দেশের সুন্দর বনের প্রতি
কুনজর দেবার লোকেরও অভাব নেই!

চীন-ভারত-আম্রিকা-সাম্রাজ্যবাদী দোসর
ব্লা-ব্লা ব্লা-ব্লা ইত্যাদি বিতর্ক অনেক দেখেছি।
গণবিচ্ছিন্ন সমাজতান্ত্রিক দূর্বোধ্য ওইসব বাদ্য শ্রবণের আগ্রহ একদমই নেই।

বরং একটা সিনারিয়ো বুঝার চেষ্টা করি,
সাভারে আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে তো অনেক খালি জায়গা আছে?
তাই না?!

আর আমাদের দেশে আমিষের ঘাটতিও ব্যাপক।
কিন্তু তাই বলে কি আমরা স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে মুরগী খামার দেব??

কমপ্লেক্সের ক্ষতি কিংবা আমাদের পুষ্টিসাধন এই বিষয়গুলি পরে আনি।
আগে বলি যে আমরা কি অমন করি?!

না, আমরা তা করি না।

তাহলে ইন্টারন্যাশনাল হেরিটেজ সুন্দরবনের সাথে এমন করছি কেন?!

উত্তর হয়তো আসবে শক্তি ঘাটতিজনিত ব্লা ব্লা...
(বিশাল প্রবন্ধ, হায় রে অন্ধ!)

মুরগীর খামারটা যেমন আমরা স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে না করে,
অন্য জায়গায় করি। তেমনি এই বিদ্যুৎপ্রকল্পটিও অন্য জায়গায় করা সম্ভব।

আমার প্রস্তাব,
এই ঘনবসতির দেশে রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র খুলে
মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা না বাড়িয়ে এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি
সেইখানে বানানো হউক।

বিদ্যুৎ সমস্যাও মিটে গেলো,
আর আমার সুন্দরবনও সুন্দর রইলো..