বন্ধুবর কহিলেন,
"যে চুরি যথাসময়ে বুঝিতে পারো নাই,
তাতো আর চুরি নাই। ওতো বাহাদুরি!"
আর্জেন্টাইন ফুটবলের বড় সমর্থক বন্ধুবরের
স্পষ্ট ইঙ্গিত ম্যারাডোনার হাত দিয়ে করা গোলটির দিকে।
এ কথা শুইনা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল দলের সমর্থক দোস্তো
খেপাচুরিয়াস হইয়া কইলো,
"ওরে চুন্নিরে! চুরির চুরি,
তা নিয়া আবার বাহাদুরি!
নিচে একটা কুত্তা আছে না?
ওই যেইটারে বাহাদুর বইলা ডাকি।
মাঝে মাঝেই ওইটা এটা সেটা চুরি করে!
অমন বাহাদুর আর কি!"
এরপর তো প্রায় হাতাহাতি লাগার উপক্রম!
দুইটারেই থামায়া কইলাম,
"তোরা বাহাদুরের থেকে কম গেলি কিসে?!
খেলাটারে একটা হাড্ডি বানায়া ঠিক বাহাদুরের মতোই
নিজেদের মধ্যে এমন জীবনমরণ কামড়াকামড়ি শুরু করে দিলি!"
পুনশ্চঃ
যারা কোন একটা বিষয় পেলেই এরকম কামড়াকামড়ি শুরু করে দেয়
তাদেরকে নেড়ি কুকুর বাহাদুরের থেকে কোন অংশেই উত্তম দেখি না।
বাহাদুর না হয় নেড়ি কুকুর,
আরেক কুকুরের সাথে কামড়াকামড়িই হয়তো তার প্রিয় কাজ।
কিন্তু মানুষ কিভাবে সামান্য বিষয়ে ওই পর্যায়ে নামে, তাই বুঝি না।
Tuesday, May 27, 2014
Saturday, May 24, 2014
নেড়ি চক্র
রাস্তায় নেড়ি কুকুর ঘেউ ঘেউ করে।
মাঝে মাঝে কেউ এঁটো হাড়টাড় খেতে দিলে
তার পক্ষে খানিকটা ঘেউ ঘেউ করে।
কখনো সখনো দলবেঁধে ঘেউ ঘেউ করে।
নিজেরা নিজেরাই ঘেউ ঘেউ করে,
পেছন টেছন শোঁকে। পাত্তা দেই না।
তবে কদাচিত্ কামড়াতে এলে, লাশটা
নগর কর্তৃপক্ষের ময়লার গাড়িতে পড়ে থাকে।
আর এইভাবেই টুপ করে শেষ হয়ে যায়
কামড়াতে তেড়ে আসা নেড়ি কুকুরের জীবন।
স্রেফ আইনানুসারে...
আর এভাবেই চলতে থাকে
নেড়ি চক্র।।
মাঝে মাঝে কেউ এঁটো হাড়টাড় খেতে দিলে
তার পক্ষে খানিকটা ঘেউ ঘেউ করে।
কখনো সখনো দলবেঁধে ঘেউ ঘেউ করে।
নিজেরা নিজেরাই ঘেউ ঘেউ করে,
পেছন টেছন শোঁকে। পাত্তা দেই না।
তবে কদাচিত্ কামড়াতে এলে, লাশটা
নগর কর্তৃপক্ষের ময়লার গাড়িতে পড়ে থাকে।
আর এইভাবেই টুপ করে শেষ হয়ে যায়
কামড়াতে তেড়ে আসা নেড়ি কুকুরের জীবন।
স্রেফ আইনানুসারে...
আর এভাবেই চলতে থাকে
নেড়ি চক্র।।
Sunday, May 18, 2014
চাষার ছানা বনাম বাঘের পোনা
বাঘের বাচ্চা বলে ডাকলে লোকে
খুশিতে লাফিয়ে ওঠে,
আর চাষার বাছা ডাকলে তাকে
ঘুষিটি বাগিয়ে ছোটে!
হায় রে শাখামৃগ দল!
মিছেমিছি কোলাহল!!
পশুর শাবক হইতে তোমার
নেইকো আপত্তি।
অথচ বললে শিশু, চাষার কিছু
সেইতো বিপত্তি!
আদি পেশা ছিল কৃষি
ভাবলেই আসে হাসি।
ব্যাঘ্রপোনা ছিলে না তুমি,
ছিল না তোমার থাবা!
ছিলে তুমি বাছা কৃষকেরই,
ওই কৃষকই তোমার বাবা।
পুনশ্চঃ
চাষার বাচ্চা বলে গালাগাল(!) দেয়া
তথাকথিত বাঘের বাচ্চাদের প্রতি উৎসর্গকৃত।।
খুশিতে লাফিয়ে ওঠে,
আর চাষার বাছা ডাকলে তাকে
ঘুষিটি বাগিয়ে ছোটে!
হায় রে শাখামৃগ দল!
মিছেমিছি কোলাহল!!
পশুর শাবক হইতে তোমার
নেইকো আপত্তি।
অথচ বললে শিশু, চাষার কিছু
সেইতো বিপত্তি!
আদি পেশা ছিল কৃষি
ভাবলেই আসে হাসি।
ব্যাঘ্রপোনা ছিলে না তুমি,
ছিল না তোমার থাবা!
ছিলে তুমি বাছা কৃষকেরই,
ওই কৃষকই তোমার বাবা।
পুনশ্চঃ
চাষার বাচ্চা বলে গালাগাল(!) দেয়া
তথাকথিত বাঘের বাচ্চাদের প্রতি উৎসর্গকৃত।।
Tuesday, May 13, 2014
শকিং পিচ্চি
বাসায় পিচ্চি খালাতো ভাইটি বেড়াতে এসেছে।
একটু আগে কোত্থেকে হঠাৎ আদুল গায়ে ছুটে এসে বলল,
"ভাইয়া, দেখো দেখো! আমি টেংটু!! হি হি হি.. খি খি খি... খু খু খু...."
কোনমতে তার দুকূল ছাপানো হাসি থামলে জিজ্ঞেস করি,
"কিন্তু ভাইয়া তুমি তো প্যান্ট পড়ে আছ, তুমি তো নেংটু নেই!!"
সে চরম বিরক্ত একটা মুখভঙ্গি নিয়ে বলল, "নেংটু না তো! টেংটু টেংটু!!"
অসহায়ের মতো বললাম, "বুঝি নাই.. ভাইয়া!!"
সে বলে, "উফফ.. তুমি কি বোকা!!"
খোকার মুখে বোকা গাল শুনে একটু সাকা সাকা অনুভূতি হচ্ছিল।
সেই মুহুর্তে ধরাস করে পরনের প্যান্টটাও খুলে পিচ্চি সাকা থেকে পুরাই স্পীকার বানায় দিলো।
খুব বিরক্তমুখে পিচ্চি বলল,
"প্যান্ট না থাকলে নেংটু আর শার্ট না থাকলে টেংটু! তুমি তো কিসসু জানো না!!"
প্যান্টটা এবার একটানে তুলে পিচ্চি বলে,
"এতক্ষণ নেংটু ছিলাম, এখন আবার টেংটু হইছি! বুঝছো?!"
অবাক হইয়া মাথা নাড়াইয়া হ্যাঁ বললাম!
ভাবতেছিলাম নার্সারির পুলাপাইন এত বিটলা হইছে ক্যামনে?!
এরপরের কথায় তো ডাইরেক্ট মার্ডার হইয়া গেলাম!
পিচ্চি গম্ভীর গলায় বয়ান দিল,
"ইসস.. তুমি তো দেখি কিসসু জানো না!! এজন্যই তো তোমার বিয়া হয় না!!!"
এই বইলা যেমনে ফুড়ুত করে আসছিল, ঠিক তেমনে ফুড়ুত করে চলে গেল।
প্রথমে সাকা, এরপর স্পীকার আর সবশেষে মার্ডার হইয়া পইড়া রইলাম - এই নিঠুর দুনিয়ায়..
শেষমেশ, নার্সারির পুলার হাতে মার্ডার হইলাম..
এই আফসোস করতে করতে নিজের কাজে মন দিলাম!
একটু আগে কোত্থেকে হঠাৎ আদুল গায়ে ছুটে এসে বলল,
"ভাইয়া, দেখো দেখো! আমি টেংটু!! হি হি হি.. খি খি খি... খু খু খু...."
কোনমতে তার দুকূল ছাপানো হাসি থামলে জিজ্ঞেস করি,
"কিন্তু ভাইয়া তুমি তো প্যান্ট পড়ে আছ, তুমি তো নেংটু নেই!!"
সে চরম বিরক্ত একটা মুখভঙ্গি নিয়ে বলল, "নেংটু না তো! টেংটু টেংটু!!"
অসহায়ের মতো বললাম, "বুঝি নাই.. ভাইয়া!!"
সে বলে, "উফফ.. তুমি কি বোকা!!"
খোকার মুখে বোকা গাল শুনে একটু সাকা সাকা অনুভূতি হচ্ছিল।
সেই মুহুর্তে ধরাস করে পরনের প্যান্টটাও খুলে পিচ্চি সাকা থেকে পুরাই স্পীকার বানায় দিলো।
খুব বিরক্তমুখে পিচ্চি বলল,
"প্যান্ট না থাকলে নেংটু আর শার্ট না থাকলে টেংটু! তুমি তো কিসসু জানো না!!"
প্যান্টটা এবার একটানে তুলে পিচ্চি বলে,
"এতক্ষণ নেংটু ছিলাম, এখন আবার টেংটু হইছি! বুঝছো?!"
অবাক হইয়া মাথা নাড়াইয়া হ্যাঁ বললাম!
ভাবতেছিলাম নার্সারির পুলাপাইন এত বিটলা হইছে ক্যামনে?!
এরপরের কথায় তো ডাইরেক্ট মার্ডার হইয়া গেলাম!
পিচ্চি গম্ভীর গলায় বয়ান দিল,
"ইসস.. তুমি তো দেখি কিসসু জানো না!! এজন্যই তো তোমার বিয়া হয় না!!!"
এই বইলা যেমনে ফুড়ুত করে আসছিল, ঠিক তেমনে ফুড়ুত করে চলে গেল।
প্রথমে সাকা, এরপর স্পীকার আর সবশেষে মার্ডার হইয়া পইড়া রইলাম - এই নিঠুর দুনিয়ায়..
শেষমেশ, নার্সারির পুলার হাতে মার্ডার হইলাম..
এই আফসোস করতে করতে নিজের কাজে মন দিলাম!