Friday, October 3, 2014

ছাগভাষা সমাচার কিংবা একটি ফাঁপরের গপ্প

অতঃপর ছেলেটি বলল তাঁর লেখা নাকি অনেক পত্রিকায় যায়, অনেক লোক সেটা নকল করে চারটে খায়। ফাঁপরে অস্থির এক ভাই পত্রিকার একটা লেখা দেখতে চাইলে অবশ্য ছেলেটি "অনেক পত্রিকায় আসে - নির্দিষ্ট করে মনে করা কঠিন" ইত্যাদি বলে দিল।

কপালফেরে কিংবা ভাগ্যদোষে খোমাবইয়ে ছেলেটির কিছু চর্বিত চর্বণ ধাঁচের লেখা দেখেছিলাম। তার জেরে এই অধমকেই সাক্ষী মেনে বসলো ছেলেটি। কান চুলকাতে চুলকাতে উত্তর দিলাম, "ম্যাঅ্যাঁঅ্যাঁ, ম্যাঅ্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁহ..."

আড্ডার সবাই হাত পা ঝাড়া দিয়ে এই দিকে ফিরলো। চোখেমুখে কৌতুক কিংবা কৌতূহলের ঝিলিক। ঘটনা কি, জানতে উৎসুক সবাই। সবার আগ্রহ দেখে খেই হারিয়ে ফেলা ফাঁপরা ছেলেটি আবার সাক্ষ্য দিতে বলায় আবার বললাম, "ম্যা.. ম্যাঅ্যাঁ... ম্যাঅ্যাঁঅ্যাঁহ...."

এক ভাই ঘটনা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলো, "হইলো কি তোমার?!"

বললাম, "ভাই ছাগলরে ছাগলের ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করতেছিলাম যে ফাঁপর টাপর ফোকলা ফোঁপরে এই অধম নাই! এখন ছাগলের ভাষা বিশেষ না জানায় ওই ম্যা ম্যা দিয়াই কাজ চালানোর চেষ্টা করতেছি।"

এই বলেই আবার ফাঁপরা ছেলেটির দিকে ফিরে বললাম, "ম্যাঅ্যাঁ, ম্যাঅ্যাঁহ, ম্যাঅ্যাঁঅ্যাঁহহ..."
এতক্ষণ সবাই ফাঁপরের গুমোটে হাঁসফাঁস করছিল, এবারে সম্মিলিত নির্মল হাসিতে সে গুমোট কেটে গেল।

এইটা বেশ কিছুদিন আগের কথা। আজ পর্যন্ত পত্রিকা বা কোথাও (খোমাবই বাদে) কোন লেখা ফাঁপরা ছেলেটি দেখাতে পারে নি। সকাল থেকে নীচে দুই জোড়া ছাগলের মিলিত ডাকাডাকিতে ঘুমের দফা রফা। একবার মনে হয়েছিল ছাগলের ভাষা জানা থাকলে খানিক কষে বকে দিতাম। এরপরই মনে পড়লো সেইদিনের ফাঁপরা ছেলেটির কথা.. বিরক্তি নিমেষে উধাও হয়ে মুচকি হাসিতে দিন শুরু হলো...

No comments:

Post a Comment